অনলাইনে উপার্জন করতে হলে প্রথমে যে সকল বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

ফ্রিল্যান্সিং আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা রয়েছে। ছবি: আপওয়ার্কের সৌজন্যফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে যাঁরা একেবারে নতুন তাঁরা ভালোভাবে প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন সবার আগে। এতে আউটসোর্সিংয়ে আমাদের দেশে অনেক উচ্চতর পর্যায়ে কাজ আসবে। যে কাজই শিখতে চান না কেন, আগে ভালোভাবে আপনাকে শিখতে হবে। তারপর কাজ পাওয়ার চিন্তা করতে হবে। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হল মুক্ত পেশা। যার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রী অর্জন ছাড়াই শুধু মাত্র দক্ষতা এবং মেধার সঠিক ব্যবহার করে সফল হওয়া যায়। বর্তমান প্রতিযোগিতার বিশ্বে অনলাইনে মানসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের মান ভালো এবং তুলনামূলকভাবে সস্থা হওয়ায় বিশ্বের নামীদামী কোম্পানিগুলো অনলাইনে কাজ সম্পন্ন করে নিচ্ছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষতা এবং ধৈর্যের সাথে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার প্রতিনিয়ত তাদের পরিশ্রম অব্যহত রেখে চলেছেন। তবে বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, মুঠোফোন অ্যাপ তৈরি, লিড জেনারেশন, অ্যাডমিন সাপোর্ট, গ্রাহকসেবা, ইন্টারনেট রিসার্চ ও ডেটা অ্যানালাইসিস কাজগুলোর চাহিদা বেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে কাজ শিখতে পারেন নতুনেরা চেষ্টা করুন আইওএস ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট, পাইথন নিয়ে এগোতে। এই কাজগুলোতে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম এবং কাজের চাহিদা বেশি। সবচেয়ে বড় বিষয়, এই কাজগুলোতে আপনার আয়ের পরিমাণটা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। যাঁরা ইউটিউব থেকে এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট ও বুটস্ট্র্যাপ শিখেছেন তা আসলে কতটুকু ভালোভাবে শিখেছেন তা যাচাই করে তবে কাজে যুক্ত হওয়া উচিত। আপনি যতটুকু শিখেছেন তাতে পিএসডি থেকে এইচটিএমএলে কীভাবে রূপান্তর করতে হয়, তা ভালো করে জেনে নিতে হবে। এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট ও বুটস্ট্র্যাপে আপনি দক্ষ হলে চেষ্টা করুন পিএসডি থেকে এইচটিএমএল রূপান্তর কীভাবে করতে হয়, তা জানতে। পিএসডি থেকে এইচটিএমএল বা এক্সএইচটিএমএল করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাকি কাজ, অর্থাৎ কোড লেখা সহজ। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে চান, তাঁরা শুরু করতে পারেন পিএসডি টু এইচটিএমএল রূপান্তরের কাজ দিয়ে। এই কাজগুলো ভালোভাবে শিখে যেকোনো মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে (অনুমোদন হলে) পিএসডি টু এইচটিএমএল কনভার্ট লিখে খুঁজলেই অনেক কাজের খোঁজ পাবেন। এখান থেকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজে আপনি আবেদন করতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কীভাবে কাজ শুরু করবেন? ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট লেখকের চাহিদা রয়েছে। ছবি: রয়টার্সফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট লেখকের চাহিদা রয়েছে। ছবি: রয়টার্সঅনলাইন মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট রাইটিংয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। স্থানীয়ভাবেও অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। কনটেন্ট রাইটার হতে হলে বেশ কিছু বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে: ১. ক্লায়েন্ট কী ধরনের কনটেন্ট চায়, তা বোঝা। যেমন নিবন্ধ, স্নিপেট, প্রমোশন কপি, ইত্যাদি। ২. যথাযথ কনটেন্ট লেখা। (বানান বিভ্রাট ঠিক করা এবং সম্পাদনা আবশ্যক) ৩. যথাসময়ে কনটেন্ট জমা দেওয়া। কনটেন্ট ৩০০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার শব্দের বেশিও হতে পারে। কনটেন্ট ব্যাকরণের দিক থেকে শুদ্ধ হতে হবে, স্থানীয় ভাষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে এবং ক্লায়েন্টের নির্ধারিত পাঠকের উদ্দেশে রচিত হতে হবে। এরপর রয়েছে কনটেন্ট লেখকের দক্ষতা। যেহেতু বেশির ভাগ ক্লায়েন্ট ইংরেজি কনটেন্ট খোঁজেন, তাই লেখকদের ইংরেজি ভাষার ওপর সুনিপুণ দখল থাকা উচিত। একই সঙ্গে প্রকাশভঙ্গি (লেখার ধরন ও অভিব্যক্তি), মান দেশ অনুযায়ী হবে (যেমন আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি)। এ কারণেই বিদেশি সংস্কৃতি বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। কনটেন্ট লেখকদের তাঁদের চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। লেখার পূর্বে বিষয়বস্তু সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং কেন কনটেন্ট লেখা হচ্ছে, সে উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। উপরন্তু, প্রত্যেক কনটেন্ট লেখককে তাঁর চিন্তাভাবনা যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারতে হবে। এমনভাবে লিখতে হবে যেন যেকোনো শিক্ষিত মানুষ বিষয়বস্তু পুরোপুরি বুঝতে পারে। তবে বিশেষ ধরনের কনটেন্টে এবং প্রযুক্তিগত কনটেন্টের হিসাব ভিন্ন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) মৌলিক ধারণা, ওয়ার্ডপ্রেস, এইচরেফস-এর দক্ষতা হলো বোনাস। প্রত্যেক কনটেন্ট লেখককে আন্তরিকভাবে জ্ঞানপিপাসু হতে হবে। পৃথিবী সম্পর্কে কৌতূহলী হতে হবে এবং সর্বোপরি লিখতে ভালোবাসতে হবে। ইন্টারনেটে লাখ লাখ চমৎকার বিষয় পাওয়া যায় এবং কনটেন্ট লেখকের উচিত বিভিন্ন প্রকাশভঙ্গি, বিন্যাস এবং উপস্থাপনের কৌশল লক্ষ করা। যখন লিখছেন না, তখন পড়ুন। এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সময় প্রয়োজন, তাই ধৈর্য ধরে লেগে থাকার অনুরোধ রইল। তবে চেষ্টা করুন এমন একজন শিক্ষক খুঁজে বের করতে, যিনি আপনাকে দিকনির্দেশনা দেবেন এবং আপনার লেখা সম্পর্কে পর্যালোচনা জানাবেন। এটি আপনাকে সফল হতে সহযোগিতা করবে। এরপর স্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে পোর্টফোলিও তৈরি করে, তারপর বড় মার্কেটপ্লেস যেমন আপওয়ার্ক বা ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলুন। 
আর আপনারা সবাই আমাদের সাথে থাকুন আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন রিয়াল বিষয়ে  আপডেট দিয়ে থাকবো
Reactions

Post a Comment

0 Comments